সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ ও বরখাস্তকৃত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দনা বস্তির খাসিয়ারা তাকে আটক করে। আজ সোমবার ভারতীয় খাসিয়ারা আকবরকে বাংলাদেশিদের কাছে হস্তান্তর করলে সেখান থেকে দুপুর ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কানাইঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসআই আকবরকে আটকের খবর পেয়ে সিলেট জেলা পুলিশ ও কানাইঘাট থানা পুলিশ এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাধারণ কিছু মানুষ আকবরকে আটক করেছেন। এ ভিডিওতে কিছু খাসিয়া ভাষাভাষী ও কিছু বাংলাভাষী মানুষকে দেখা যায় আকবরকে বেঁধে রাখতে। আকবর সেসময় তাদের কাছে ‘তিনি রায়হানকে খুন করেননি’ বলে কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে অনুনয় করতে থাকেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মামলার তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, আকবরকে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে খাসিয়া পল্লির সাধারণ মানুষরাই আটক করেন।
পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আকবরকে ভারতের অভ্যন্তরের খাসিয়া পল্লির স্থানীয়রা আটক করে পরে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে, কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে তা এখনো জানি না।’
বিজিবি’র ১৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ হোসেন বলেন, ‘আকবরকে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে খাসিয়ারা আটক করেন। পরে তারা সীমান্ত এলাকার আব্দুর রহিম নামের এক বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করে সীমান্তেই আকবরকে তার হাতে তুলে দেন। আব্দুর রহিমই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আকবরকে পুলিশে হস্তান্তর করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি সীমান্তের একটু দুর্গম এলাকা। আর বিএসএফ বা আমরা বিষয়টি জানার আগে স্থানীয়রাই হস্তান্তর করে ফেলেছেন।