বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তকে নিয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনিন সরওয়ার কাবেরীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর, অশোভন ও উগ্র সাম্প্রদায়িক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে অবিলম্বে তাকে (নাজনিন সরওয়ার কাবেরী) দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
শনিবার কক্সবাজার শহরে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ দাবি দেওয়া হয়েছে। ধর্ম অবমাননার নামে গুজব, ধর্মীয় জিগির তুলে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও কুমিল্লার মুরাদনগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু এলাকায় আক্রমণের প্রতিবাদ, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারসহ ১০ দফা দাবিতে গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখা ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা।
কক্সবাজার শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের গেট চত্বরে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সন্তান। তিনি আজীবন লালন করে আসছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনা।
অথচ জাতির জনকের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে থাকা নেতা নামধারী সুবিধাবাদীরা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে বিষোদগার ছাড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, নাজনিন সরওয়ার কাবেরী নামের কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ধারী একজন নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্তকে নিয়ে যে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছেন তা ইউটিউব চ্যানেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
সভায় হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, সহসভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বাবুল শর্মা, ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ডা. পরিমল দাশ, শহর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বেন্টু দাশ, জেলা আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাপ্পী শর্মা, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, জেলা ঐক্য পরিষদ নেতা শ্বপন শর্মা রণি, জেলা নেত্রী দীপ্তি শর্মা, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ডা. পুলিন দে, জেলা ঐক্য পরিষদ নেতা থোয়াই অং বুবু রাখাইন, পরিমল বড়ুয়া, অধ্যাপক নিলোতপল বড়ুয়া, অজয় আচার্য্য, প্রদীপ ভট্রাচার্য্য, উৎসবময় চৌধুরী, বলরাম দাশ অনুপম, সাগর পাল সাজু, রুবেল বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন শেষে পৌরসভার সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে শেষ হয়।