সীতাকুণ্ডে এক নারীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে ছয় বন্ধু। শনিবার বিকাল থেকে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত জলসা আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজারসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার সকালে ওই নারী কৌশলে তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে সীতাকুণ্ড থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিক হোটেল জলসা ও পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
সোমবার থানায় মামলা করার সময় ওই নারী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরা তাকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গ্রেফতাররা হল সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামের নুর নবীর ছেলে মোহাম্মদ আলীম হোসেন, গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বার বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত, দক্ষিণ ভাটেরখীল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ ইমন ইসলাম, একই এলাকার নেছার আহমেদের ছেলে রনি, জসিম উদ্দিনের ছেলে বারেক, আবুল কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়ন ও জলসা হোটেলের ম্যানেজার দক্ষিণ ইদিলপুরের আবুল কালামের ছেলে নুর উদ্দিন।
সীতাকুণ্ড থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, ধর্ষণের শিকার মীরসরাই উপজেলার ওই নারী স্বামী পরিত্যক্ত। এক মাস আগে সীতাকুণ্ডের যুবক নয়নের সঙ্গে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা হয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই নারীকে সীতাকুণ্ডে নিয়ে এসে হোটেল জলসা নামক একটি আবাসিক হোটেলে গণধর্ষণ করে।
এছাড়া চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রিয়াজ নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে সদরঘাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রিয়াজ ডবলমুরিং থানার মোগলটুলির কাটা বটগাছ এলাকার মো. হানিফের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডবলমুরিং এলাকায় ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগও আছে।
সদরঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আহমদ উল্লাহ ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীকে রিয়াজ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।