প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশে। যার কারনে বিশ্বের দরবারে মানবতার নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু সেই রোহিঙ্গারা আজ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত খুন-খারাবিতে জড়িয়ে পড়ছে। যা কখনো কাম্য নয়।
উখিয়া খবর ডটকম’কে এভাবে বলছিলেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী।
তিনি এসময় বলেন, গত ৬ দিনে রোহিঙ্গা নেতা মুন্না ও আরসা গ্রুপের মধ্যে একেরপর এক ঘটনা ঘটে আসছে৷ মানবতার রোহিঙ্গা ক্যাম্প আজ রক্তাক্ত। সেখানে কর্মরত এনজিও,আইএনজিও,ইউএন সংস্থা গুলো সেবা দান করতেও হিমশিম খাচ্ছে৷ দিনের বেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার থাকার কারনে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের তৎপরতা কম থাকলেও রাতের বেলায় সেখানে সন্ত্রাসীদের রাম রাজত্ব চলে।
তিনি বলেন, ইয়াবা, স্বর্ণ, অস্ত্র এবং ক্যাম্পে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে গত ৬দিনে মুন্না’ গ্রুপ ও আরসা গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে এক নারীসহ ৮জন নিহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়া রোহিঙ্গারা দিন দিন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে৷ সরকার প্রধানের প্রতি তিনি দাবী জানিয়ে বলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা না হলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা এদেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাড়াবে।