টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা কার্তুজ সহ চার জন ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করেছে।
আটককৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উলুসামারী কোনার পাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৩২), একই এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে জাফর আলম (৪২), হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার মৃত মোহাম্মদ শফির ছেলে আনোয়ার হোসেন(২১), মৃত মোজাফফর আহমদের ছেলে নজির আহম্মদ (৫০)।
২ অক্টোবর সকাল ৮ ঘটিকার সময় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের কোনা পাড়া উলুসামারী এলাকা থেকে অস্ত্র সহ চার ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করা হয়।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায় কলেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান পিএসসি বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারে ২ অক্টোবর সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের কোনা পাড়া উলুসামারী গ্রামের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে কুখ্যাত ডাকাত নুরুল আমিনের বাড়িসহ তার পার্শ্ববর্তী ৪টি বাড়িতে অবস্থান করে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত সংবাদে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় বাড়ি গুলোর চারদিকে ঘেরাও করে। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে মৃত রুহুল আমিনের পুত্র জাফর আলম (৪২) এর বসত ঘর এবং তার পার্শ্ববর্তী আরও ২টি বাড়ি হতে ডাকাত চক্রের ৬-৭ জন সশস্ত্র ডাকাত পালিয়ে যায়। তবে টহলদল কুখ্যাত ডাকাত নুরুল আমিন এর বাড়ি হতে রকেট প্যারাসু্ট ফ্লেয়ার নিয়ে আলোচনা করা অবস্থায় চার জন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত বসত বাড়িটি তল্লাশী করে আলমিরা ও বক্স খাট এর নীচ হতে এবং ওয়্যারড্রোবের ড্রয়ারের ভিতর থেকে ৬টি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৯ রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসা, ৪ রাউন্ড রাইফেল এ্যামুনেশন, ৪ রাউন্ড এলএমজি এ্যামুনেশন, ৪ রাউন্ড রকেট প্যারাসুট ফ্লেয়ার, ১টি পুলিশ বেল্ট এবং ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র বহনের দায়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।