কক্সবাজারের উখিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেছেন, গঠনতন্ত্রের নিয়ম মেনে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কেউ যদি দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে সভাপতি কিংবা সম্পাদক কেউ গঠনতন্ত্রের উর্ধ্বে নয়। আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে উখিয়ার ৫ইউনিয়নের বর্ধিত সভা করার জন্য ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকমর্ীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
৩ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ১১টার দিকে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে উখিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের জরুরী বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বর্ধিত সভায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬৭ সদস্যের কমিটিতে ৫জন বিভিন্ন কারণে বাদ পড়ায় ৬২ জনের মধ্যে ৩৯জন, পাঁচ ইউনিয়নের সভাপতি/সম্পাদক ১০জনের মধ্যে ৮জন এবং ৪৫ ওয়ার্ডের ৯০ সদস্যের মধ্যে ৮১জন উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমুলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ৪টি প্রস্তাবে অধ্যক্ষ হামিদ বলেন, উখিয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার করার জন্য ঢাকা কিংবা কক্সবাজার জেলা থেকে কেউ আসবে না। তিনি দলের স্বার্থে উখিয়া আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতবিরোধ এবং সংকট মোকাবেলায় উখিয়া-টেকনাফ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আকতার এবং সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির সহযোগিতা কামনা করেন। কেননা, আপনারা সম্পর্কে আপন ভাই-বোন ও শ্যালক-ভগ্নিপতি।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা জেলা কমিটি সভা আহবান করে উখিয়ার ৫ ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীর মতামত যাচাই সাপেক্ষে সম্মেলন করার প্রস্তাব করেন। প্রয়োজনে তৃণমূল নেতাকমর্ীর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমাকে বাদ দেয়া হলেও কোন দু:খ থাকবে না। তবুও দলে সকল নেতাকমর্ীদের মাঝে ভালো সম্পর্ক বিরাজ করুক।
তিনি উখিয়া আ্ওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি উখিয়ার প্রতিটি কমিটির কাজ সম্পাদন করুন। সভাপতি হিসেবে আমি শুধুমাত্র উপস্থিত থাকবো। তবুও দলের নেতাকমর্ীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।
বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখছেন উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক নুরুল হুদা
বর্ধিত সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম মাহবুব বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। কখনো রাজপথ ছেড়ে যায়নি। আজ যারা রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে তারা তখন কোথায় ছিলো আমার জানা নেই। এখনও চাকরি করে সংসার চালাই।
বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান এস. এম সৈয়দ আলম, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ ইসলাম, রত্নাপালং ইউনিয়ন সভাপতি আসহাব উদ্দিন, পালংখালী ইউনিয়ন সভাপতি এম. মঞ্জুর, জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন জুয়েল, উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন ও উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মকবুল হোসাইন মিথুন কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক তাসহীদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি আনিসুল ইসলাম, এড. মোহাম্মদ রাসেল। এসময় যুবলীগের সহ-সভাপতি এটিএম রশিদ, যুবলীগ নেতা রাসেল উদ্দিন সুজন, মুহাম্মদ হানিফসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবিলীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, স্বেচ্চাসেবক লীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।