মেজর (অবঃ) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যাকান্ডে জড়িত টেকনাফের (বহিস্কৃত) ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম কারাগারে ডিভিশনের মাধ্যমে জামাই আদরে রাখা হয়েছে। আমরা সিনহার সেই রক্ত ছুঁয়ে শপথ করে বলছি সিনহা হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় টেকনাফের শাপলাপুর সিনহা হত্যার ঘটনাস্থলে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরো বলেন, সিনহা হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়ে পুরো কক্সবাজার পর্যটন স্পটকে কলঙ্কিত করেছে। বহিস্কৃত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ মাদক নির্মূলের নামে সাধারণ লোকজনকে অন্যায় হত্যা করেছে। যার প্রমাণ সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
শাপলাপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
এসময় ওসি প্রদীপসহ অন্যান্য জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগানে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, ভাই তানভীর সরোয়ার রানা, কাবেরীর ছেলে স্বাধীন, তৌহিদ, টেকনাফ ৫ নং বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজ, উক্ত ইউনিয়নের সকল মেম্বারসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ববৃন্দ এবং স্থানীয় জনসাধারন অংশগ্রহন করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৩১শে জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
সেই ঘটনায় পুলিশ দুইটি মামলা করে। তবে মেজর (অব.) সিনহার বোনের করা মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জন পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।