কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ নাইক্ষ্যংছড়িবাসী। কুকুরের কামড়ের আতঙ্কে আছে পথচারিরা । বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগে কুকুর নিধন কার্যক্রম থাকলেও এখন অভিযান বন্ধ থাকার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
২৬ সেপ্টম্বার শনিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলা পরিষদ ও রেষ্টহাউজ সড়কের যেখানে সেখানে দল বেঁধে কুকুরের অবাধ বিচরণের চিত্র। কাউকে একা পেলেই এরা হয়ে উঠে হিংস্র। শিশু থেকে শুরু করে বুড়ো পর্যন্ত সবাই আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয়ে থাকেন অনেকে । তবে কাউকে আক্রমণে কামড় দিয়েছে সে রখম খবরা খবর পাওয়া যায়নি এখনো ।
উপজেলা কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, বিগত সময়ে উপজেলা প্রশাসনে কুকুর নিধন করার লক্ষে বরাদ্দ আসতো। এখন কোন ধরনের বরাদ্দ আসে না। কুকুর নিধনও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিধনের বিষয়ে পরিবেশ সংস্থা পক্ষথেকে নিধন বিষয়ে একটি মামলা রিটও করা হয়েছে বলে জানাযায়।
পল্লী চিকিৎসকেরা জানান, কুকুরের কামড়ে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের যথাসময়ে চিকিৎসা নিতে না পেরলে অকালে মারা যেতে পারে।
মারকাজুল ইসলামিয়া দারুসছুন্না মদরাসর পরিচালক মাওলানা জালাল উদ্দীন ফারুকী জানান, এই করোনা পরিস্থিতে লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার কারনে কওমী শিক্ষা বোর্ড শর্তস্বাপেক্ষে মক্তব ও মাদরাসা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এ মৌসুমে কুকুরের উপদ্রব এতই বেড়েছে যে কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সুহি ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মো,নুরুল কাশেম জানান, গত দুই বছরে প্রায় ১০-১৫ জনের অধিক লোক কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁর দোকান থেকে।
এছাড়া থ্রি ষ্টার মেডিসিন ও বিজিনিস কমপ্লেক্স, ফারুকীয়া ফার্মেসি,ইমাম মেডিকো,নাহার মেডিকো থেকে শতাধিক লোকজন ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মোঃ ছলিম বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে মরণব্যাধি জলাতঙ্ক রোগ হয়। যার চিকিৎসা ব্যয়বহুল। কুকুরের কামড়ে ভ্যাকসিন না নিয়ে অপচিকিৎসা করলে মৃত্যু অনিবার্য। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্যাকসিন পাওয়া না গেলেও উপজেলা সদর ফার্মেসিগুলোতে তা পাওয়া যায়।’আপাতত জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন পাওয়া যায় তবে উপজেলাভিত্তিক কোনো ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। অন্য উপজেলায় যদি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয় তাহলে নাইক্ষ্যংছড়িকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেবে বলে আশাবাদী।
নাইক্ষ্যংছড়ির সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ভ্যাকসিনের ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চায়।