রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরির কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
নিরাপদে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অস্ট্রেলিয়া, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, আশা ফাউন্ডেশন ফিলিপাইন, অন্টারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি কানাডা এবং কানাডার লরেন্টিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ উদ্যোগে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
এতে পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, লরেন্টিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক হেনরি পালার্ড, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক ক্রিস্টিন বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া নিরাপদে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক, অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান এবং ড. মহসীন হাবিব প্রমুখ।
নিরাপদে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য তিনটি দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।
প্রথমত, মিয়ানমারকে দিয়ে রোহিঙ্গাদের সত্তার স্বীকৃতি আদায়। দ্বিতীয়ত, জাপান-ভারতের গণহত্যাবিরোধী বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সে দেশের সরকারের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ, সর্বোপরি রোহিঙ্গাদের মধ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, রোহিঙ্গারা বিশ্বের ১৯টি দেশে রয়েছে। যখন বৈশ্বিক রোহিঙ্গা সিভিলিয়ান সোসাইটিসহ রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা লাভ করবে তখন মিয়ানমার বুঝতে পারবে কীভাবে তাদের সাথে আচরণ করতে হবে।
ওয়েবিনারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু দুভার্গ্যক্রমে বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে। কক্সবাজারের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ইস্যু নয়। এটি মিয়ানমার ও তাদের নিজের জনগণের ইস্যু।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের কারণে দৃশ্যত কোন অগ্রগতি হয়নি বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।