মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার কোর্ট বিল্ডিং চত্বর এলাকার মসজিদ মার্কেট থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আরডিসি রায়হান কায়সারের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ৬ মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটক হওয়া ভুয়া আইনজীবীর নাম মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন। তার পিতার নাম মো. ইউনুচ। তিনি কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোর্ট বিল্ডিংয়ের মসজিদ মার্কেটের তৃতীয় তলায় অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেনের চেম্বারে বসে আইন পেশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আ জ ম মঈন উদ্দিন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে একশ্রেণির প্রতারক নানাভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি বা প্রতারণা করে আসছে। এতে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছিল। তাই আমরা একটি সার্ভেলেন্স টিম গঠন করে দিয়েছি এসব প্রতারক শনাক্ত করে আটক করার জন্য।
এ সময় তার কাছ থেকে জেলা ও দায়রা জজ, সহকারী জজ, জেলার, ডেপুটি জেলার, বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তাদের সিল পাওয়া গেছে। পাশাপাশি অসংখ্য জনপ্রতিনিধির সিলও উদ্ধার করা হয়েছে তার কাছ থেকে। অভিযানে খুরুশকুল পঞ্চায়েতপাড়া এলাকার হারাধন চন্দ্র দে নামের আরেকজন সহকারীকে আটক করা হলেও তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত ভুয়া আইনজীবী মোহাম্মদ মঈন উদ্দিনকে ৬ মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠান।