নানাবিধ অপরাধ এবং বিশেষ করে মাদক সংক্রান্ত অভিযানে ক্রসফায়ার (বন্দুকযুদ্ব) বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি বিষয়।এটা অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে সবার কাছে।সবাই যেন এক একজন বধির ও বাক প্রতিবন্ধি।নো টু শব্দ।হয়তোবা একটু হা হুতাশ, একটা দীর্ঘশ্বাস অথবা তীর্যক ক’টা মন্তব্য।আসলে মানুষ সেয়ানা পাগল।কেননা তাদের গায়েও গুলি লাগে।বেশী উচ্চবাচ্য করলে নিজে যে ক্রসফায়ারের শিকার হবে না বা ইয়াবা মামলায় জেলে যেতে হবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে।প্রমানস্বরূপ ওসি প্রদীপ ও বিভিন্ন ক্রসফায়ার নাটকের নায়কদের ভয়েস রেকর্ড শুনেছেন,পত্রিকায় নিশ্চিত পড়েছেন।
ক্রসফায়ার নামক রম্য কাহিনীর ঘটনাপ্রবাহে সব সময় দেখা যায় আসামী সমেত অভিযানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে অপরাধী বা তার দলবলদের গোলাগুলি হয় এবং অবধারিত ভাবে বন্দুকযুদ্বে আসামি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হবে। ঘটনাস্হল থেকে উদ্বার করা হবে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য।অবশ্য গুলিবিনিময়ে পুলিশের লোকও টোটকা টাটকা গুলিবিদ্ব হতে হয়। নয়তো নাটক যে ফ্লপ হবে ! তবে নির্মম সত্য হলো আজ পর্যন্ত যতো বন্দুকযদ্ব হয়েছে সেখানে আইনশৃংখলা বাহিনীর একজনও মারা যায় নাই।এতোই কাঁচা ভিলেন বন্দুকবাজেরা।এটাতো অতি আনন্দের বিষয় যে আমাদের গর্বিত(!) পুলিশ বাহিনীর কল্প নাটক ক্রসফায়ার এর অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক ওসি প্রদীপ দাশ ডাবল সেন্চুরী করেছেন।অপরদিকে ইয়াবা দমনে ব্যর্থ হলেও তার আখের তো গুছিয়েছে।এজন্যে তাকে একটিমাত্র বিপিএম মেডাল তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি তাকে আপাদমস্তক সব পুরস্কারে ঢেকে দেওয়া হোক।আর একটা পূরস্কার তার জন্য যথাযথ হবে।তাকে বাংলাদেশের প্রধান জল্লাদের চাকরীটা দেওয়া হোক।নেশাখোর যেমন নেশা পানের সময় হলে অস্হির হতে পড়ে,আমাদের অমুল্য রতন সোনার ছেলে দাদাবাবু প্রদীপ দাসও মানুষ খুন করতে না পারলে পাগলপারা হয়ে পড়ে।সুতরাং জল্লাদের পদটি তাকে দিলে জাতি যেমন গর্বিত হবে,তার আত্নাও শান্ত হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল।যত নষ্ঠের মুলে শহীদ সিনহা রাশেদ।সে আবার রিটায়ার্ড মেজর।সেনাবাহিনীর লোক হওয়ায় সব গুড়েবালি।প্রদীপদা বলছে এতদিন কত লোক মারলাম সবাই বাহবা দিলো। একজন সাবেক মেজরকে নয়তো হত্যা করলাম তাতে কি এমন মহাভারত অশুদ্ব হয়েছে?সেতো আর বর্তমান গদীনশীন মেজর নয়।আসলে এদেশের মানুষ গুণীর কদর দিতে জানেনা।বড়ই অকৃতগ্ঘ এ জাতি,হুজুগে মাত্র।
অতীতেও যেমন তার কিছু হয় নাই এবারও কিছু হবে না এটা প্রদীপের ধারনা নাকি।
তবে এই ঘটনায় একটা বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছে যে ঘরে ঘরে মেজর তৈরী করতে হবে।সিনহা মেজর না হলে পূর্বের মতো সবাই চুপচাপ থাকতো।
তবে আমার মতে মানুষ,মানুষ তৈরী করতে পারে না,মারতে পারে শুধু।তাই অকাতরে মানুষ হত্যার জন্য তার এবং সহযোগীদের সর্বোচ্ছ শাস্তি দেওয়ার দাবি করছি।
মেজর সিনহা কবরে শান্তিতে থাকুন।