স্থানীয়রা জানান, অপহরণের সময় তাঁর স্ত্রী ফারজানা বেগম(২৫), মা আরফা বেগম (৫০) ও পিতা আবদু রহিম (৬০) কে মারধর করে আহত করে অপহরণকারীরা। স্থানীয় এলাকাবাসী ও গ্রাম পুলিশের হাতে আটক দুইজনকে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের মাধ্যমে থানায় হস্তান্তর করা হয়ছে। আটককৃতরা হলেন, কাচারী পাহাড় এলাকার মুক্তার আহমদের ছেলে হাসান ও কেরুণছড়ি এলাকার মৃত লেদু মিয়ার ছেলে মোঃ কাইছার।
আহত আবদুল মালেকের মামা আমির হোসেন বলেন, আমার ভাগিনা আবদুল মালেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করার কাজে সহায়তা করে আসছিল। বিদ্যুৎ লাইনের জন্য বেশ কয়েকজন মানুষ সরকারী ফি জমা দেন। লাকডাউনের কারনে সংযোগ স্থাপনে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে টাকা জমা দেয়া কয়েকজন লোক। ওই ঘটনার সূত্র ধরে গতকাল রাতে আটক দুইজনের নেতৃত্বে মৃত আবু ছিদ্দিকের ছেলে আবুল শামা, মফিজুর রহমানের ছেলে রুবেল, নাছির উদ্দিনের ছেলে সালাউদ্দিন, মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান ও আবছার নামে এক ব্যক্তিসহ আরও বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী বোনের বাড়ি ঘেরাও করে। বোনের ছেলে আবদুল মালেককে অপহরণ করার চেষ্টা করে। ওই সময় তার মা পিতা ও স্ত্রী বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে গুরুতর আহত করার পর মালেককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে অপহরণের বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী ও চেয়ারম্যানকে অবগত করি। চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়রা গিয়ে আহতকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
টইটং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বলেন, রাতে গ্রাম পুলিশ সামশু আমাকে ঘটনাটি অবগত করার পর পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজমকে অবগত করি। ওনার নির্দেশে স্থানীয় এলাকাবাসী ও গ্রাম পুলিশ অপহৃত আবদুল মালেককে উদ্ধার করার পর দুইজনকে আটক করে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। সকাল ১১টার দিকে আটক দুইজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম বলেন, দুইজন লোক থানায় আটক আছে। বিষয়টি কি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।