কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বৃহত্তম রাজাপালং ইউনিয়নের দুই(২) নং ওয়ার্ডের মধ্যেরাজাপালং হিজলিয়া এলাকায় খালের ভাঙনের মারাত্মক শিকার হয়ে ২/৩ শত মানুষ ঘর বন্দী হয়ে পড়েছেন।
রাজাপালং ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের হিজলিয়া এলাকায় খালের ভাঙনে মানুষের হাটার রাস্তা, বসতবাড়ির নির্দিষ্ট অংশ পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে বিলীন হয়ে যায় এমনকি একটি বাড়ি যে কোন মূহুর্তে খালের পানিতে বিলীন হয়ে যেতে পারে এইদিকে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়ে শতাধিক পরিবারের প্রায় ৩’শতাধিক মানুষ ঘর বন্দী হয়ে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী এলাকা বাসীরা বলেন এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন শতাধিক লোক চলাচল করতো কিন্তু ধাপে ধাপে ভেঙে যাওয়ার ফলে এই তিন শতাধিক লোকের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ।
ইতিমধ্যে আমরা রাজাপালং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরে”র চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের কে ইউনিয়ন পরিষদ বরাবরে একটি আবেদন করতে বলেছেন এবং আপাতত যেন আমরা হাটতে পারি সেই রকম ব্যবস্থা করে দিবেন বলে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের আশ্বাস দিয়েছেন।
এই দিকে মাওলানা আব্দু রহিম নামে একজন বলেন, আমরা দীর্ঘ পাঁচ(৫) বছর যাবৎ খালের ভাঙনে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়ে আসতেছি এই বছর বর্ষ মৌসুমের শুরুতেই হাটার রাস্তা খালের পানিতে বিলীন হওয়ায় আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল কিংবা মাদ্রাসায় যাতায়াত করতে পারবে না, এই মূহুর্তে আমরা বাজারে, মসজিদে পর্যন্ত যায়তে পারতেছি না।
শাহিন আক্তার নামে এক মহিলা বলেন, খালের পানির প্রবল স্রোতে যে কোন মূহুর্তে আমাদের বিপদ হতে পারে কেননা আমার বাড়ির সাথে খালের দূরত্ব মাত্র ৩’ফুট বলে জানিয়েছেন।
রাজাপালং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী”র সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, বিষয় টা নিয়ে আমি যথেষ্ট অবগত আছি আপাতত মানুষ যেন যাতায়াত করতে পারে সেই রকম একটি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি এবং আগামী যে কোন বাজেটে ভাঙনের বিষয় টা তুলে ধরবেন বলেন জানিয়েছেন।
রাজাপালং দুই নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, সালাউদ্দিন মেম্বার বলেন, আমি গত চার বছর আগেও ভুক্তভোগী এলাকা বাসীদের ব্যত্তিগত ভাবে আর্থিক সহযোগিতা করে ছিলাম এবং আপাতত যেন তারা যাতায়াত করতে পারেন চেয়ারম্যানের পাশাপাশি আমিও সহযোগিতা করবো বলে জানিয়েছেন।