কক্সবাজারে করোনা শনাক্তের ৫৫ দিনে রোগীর সংখ্যা ১৯০-এ পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮ জন, মারা গেছেন একজন। বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও আইসোলেশনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলার প্রতিটি সরকারি হাসপাতালসহ উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কয়েকটি বেসরকারি আইসোলেশন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। রোগী বাড়লে আরো নতুন হাসপাতাল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, কক্সবাজারে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ রোগীর আইসোলেশন গড়ে তোলা হলেও সেখানে সামর্থ্যের ৪০ ভাগও রোগী নেই। তবু আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। রোগী বাড়লে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালও বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে শহরের স্টেডিয়ামে ও উখিয়ায় ২শ করে ৪শ বেডের দুটি নতুন হাসপাতালও প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, রোববার পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯০ জনে। এর মধ্যে চকরিয়ায় ৬০ জন, কক্সবাজার সদরে ৫০ জন, পেকুয়ায় ২৪ জন, উখিয়ায় ২৬ জন, মহেশখালীতে ১২ জন, টেকনাফে ৭ জন, রামুতে ৪ জন, কুতুবদিয়ায় ২ জন এবং বাকি ৫ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী।
তিনি জানান, কক্সবাজারে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে গত ২৪ মার্চ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। তিনিসহ ইতোমধ্যে ৩৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কক্সবাজারের একমাত্র করোনা রোগী মারা যান গত ৩০ এপ্রিল সদর হাসপাতালে। রামুর এ রোগীকে আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের (কমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, রোববার কমেকের আইইডিসিআরের ল্যাবে ১৮৪ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার সদরের ৯ জন, উখিয়ার ৪ জন, পেকুয়ার ১ জন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ১ জন, বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১ জন এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৬ জন রোগী রয়েছে।
তিনি জানান, কমেকের আইইডিসিআরের ল্যাবে কক্সবাজার জেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার বাসিন্দাদের জন্য টেস্ট সুবিধা রয়েছে।