বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান পরিবারের স্বজন ও অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বাইশারী বাজারে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমের লোকজন ও সাবেক চেয়ারম্যান ফারুখ আহমদের দুই ছেলের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানান, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুখ আহমদের ছোট ছেলে ও সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রাশেদুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাস্মদ আলম এর অনুসারী হিসেবে পরিচিত উত্তর বাইশারী এলাকার গোলাম মওলার মধ্যে যুবলীগের কাউন্সিল নিয়ে তর্কাতর্কি হয়।
এসময় রাশেদ তার পরাজয়ের জন্য বর্তমান চেয়ারম্যানকে দায়ী করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে মারামারিতে লিপ্ত হয় উভয়পক্ষ। এসময় বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই প্রসঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুখ আহমদের বড় ছেলে হাবিব নওশাদ মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, তার ছোট ভাই রাশেদকে বাজারে আটকে রেখে চেয়ারম্যান আলম মারধর করছে, এমন খবর পেয়ে তিনি বাজারে ছুঁটে যান।
ঘটনাস্থলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান ও তার অনুসারী লোকজন অর্তকিত তারা দুইভাইয়ের উপর হামলা চালায়। এতে তারা শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন।
এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, “গত কিছুদিন ধরে রাশেদ তার পরাজয়ের জন্য আমাকে দায়ী করে প্রকাশ্যে ও সামাজিক মাধ্যমে অশ্লীল কথাবার্তা বলে আসছিল”।
বিষয়টি তার পিতাকেও বলা হয়। কিন্তু গতকাল রাতে রাশেদ ও তার ভাই হাবিব বাজারে প্রকাশ্যে আমার উপর হামলা করলে। বাজারের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এসময় রাশেদকে বুকে টেনে জনতার রোষানল থেকে রক্ষা করেন তিনি।
এদিকে সাবেক দুই চেয়ারম্যানের পরিবার ও অনুসারীদের মাঝে এই হামলার ঘটনা এলাকায় তোলপাড় চলছে।