টেকনাফ বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী গ্রামে দলবদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলায় স্থানীয় মৃত সোলাইমানের পুত্র হেলাল উদ্দিন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গুরুতর আহত হেলাল উদ্দিনের বড় ভাই আবছার উদ্দিন জানান, উত্তর শীলখালীর মাঝের পাড়া গ্রামের পশ্চিমে নারিশ কোম্পানির করা একটি শ্রিম্প হ্যাচারি অবস্থিত। উক্ত হ্যাচারির সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্বরত আছেন চট্রগ্রাম চন্দনাইশ এলাকার মোঃ সেলিম উদ্দিন। সেলিম টেকনাফ বাহারছড়ার স্থানীয় ব্যক্তি না হওয়াতে স্থানীয় উত্তর শীলখালীর মৃত শফিকুল ইসলামের পূত্র আমান উল্লাহ, ছৈয়দুল ইসলাম, মকবুল আলীর পূত্র আতা উল্লাহর নেতৃত্বে জহিরুল ইসলামের পূত্র মোঃ আলমগীর, মৃত নুরুল ইসলামের পূত্র রফিকুল ইসলাম, মনছুর আলমের পূত্র মোঃ আবদুল্লাহ, মোঃ ইসহাকের পূত্র শফিকুল ইসলাম, তার পূত্র রাহমত উল্লাহ, মকবুল আলীর পূত্র আমিন উল্লাহ, মোজাহেরুল ইসলামের পূত্র নুরুল আবছার, আবদু শুক্কুরের পূত্র আবদুল্লাহ সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে প্রতিনিয়ত নারিশ হ্যাচারিতে কোনো কাজ করতে হলে উক্ত সন্ত্রাসী গ্যাংকে চাঁদা দিতে হবে বলে দাবী করে আসছিল।
উক্ত ঘটনা মোঃ সেলিম উদ্দিন আমার ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন কে প্রতিকার চেয়ে সাহায্য চাইলে উল্লেখিত সন্ত্রাসী গ্যাং সেলিমের উদ্দিনের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়। পরিশেষে ২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ দিকে সন্ত্রাসী গ্যাং নারিশ হ্যাচারির ভিতরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অনুমতিহীন প্রবেশ করে মোঃ সেলিমকে ধমকাতে থাকে। উক্ত স্থানে মোঃ সেলিম ভয়ে আত্ন চিৎকার করতে থাকে। সেলিমের চিৎকার শুনে আমার ভাই আবছার সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা যৌতভাবে তাদের কাছে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তার হাতের বৃদ্ধা আঙুল ধারালো দা এর আঘাতে কেটে আলাদা হয়ে যায়। তার মাথায় কয়েকটি মারাত্নক ধারালো দা এর আঘাত রয়েছে। তার আজ কিছু জমি বেচাকেনা হওয়ার কথা ছিল। সে জমির টাকা নিয়ে টেকনাফ যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিল। সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকে প্রায় দশ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে আমার ভাইয়ের আত্ন চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থা গুরুতর দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আমরা তার জীবন নিয়ে এখন শঙ্কায় আছি। আমার ভাইয়ের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে এই নেক্কার জনক হামলার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টেকনাফ থানায় একটি এজাহার দায়ের করি। তার মধ্যে ১নং আসামী আমান উল্লাহকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতেও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে উক্ত ঘটনার জন্য অভিযানে ব্যস্ত থাকায় ফোন করেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।