সিএমপি’র কোতোয়ালী থানা পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি আবুল কালামকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৫ ই ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আবুল কালাম মিয়ানমারের নাগরিক। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার লেদা পাড়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী।
কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রাত দুইটার দিকে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আবুল কালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে নেওয়ার পথে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আবুল কালাম নামে ওই রোহিঙ্গা শরণার্থী। যিনি ইয়াবা-সহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার এক উপপরিদর্শক ও দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কার হওয়া উপপরিদর্শকের নাম সেতু আক্তার, দুই কনস্টেবল হলেন শাহাদাত ও নজরুল। পুলিশ হেফাজত থেকে কী করে আসামি পালালো সেটা খুঁজে বের করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত উপ-কমিশনারকে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সিএমপি’র দক্ষিণের ডিসি জসিম উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় সিএমপির দক্ষিণ জোনের এডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কর্তব্যে অবহেলার দায়ে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর ও দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।