গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে প্রকাশিত ‘ঘুমধুমে শিকদার আলীর ২ ছেলে ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচারে জড়ি! ২ বছরে নাম লিখিয়েছেন কোটিপতির খাতায়’ শিরোনামে পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং মানহানিকর৷
গত ১৩ জুলাই ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ঘুমধুমের জাফর আলমের ছেলে নুরুল আবছার রনি (২০) ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১২ (ব্লক-জে-১৬) এর তৈয়বের ছেলে মোহাম্মদ আয়াস (২২) আটক করে র্যাব-১৫। এদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে যথারীতি মামলা হয়৷ সেখানে কোথাও আমাদের নাম নেই। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু চক্র আমাদের নামে বিভ্রান্তিমুলক পোস্ট দিতে থাকে ফেসবুকে। পাশাপাশি টাকা দিলে এসব পোস্ট কেটে দেওয়া হবে বলেও খবর দেন আমাদেরকে। আমরা তাতে রাজী হয়নি। কারণ আমরা ২ভাই গত সাড়ে ৩ বছর ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করে আসছি। একজন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিতে আরেক জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এ। চাকরি করে কোন রকম সামাজিক ভাবে মান সম্মান ধরে রেখে জীবন-যাপন করে যাচ্ছি।
দুষ্কৃতিকারীরা তাদের ফেসবুক আইডিতে আরো লিখেছে আমরা নাকি স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত। চাকরি করা কালীন কেউ কি অন্য কাজ করার মতো সুযোগ আছে, প্রশ্ন সচেতন মহলের কাছে? আমরা দুই ভাই সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরে থাকি। এরপরেও নাকি আমরা এসব কর্মে জড়িত। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারবো এই ধরনের কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে যে আমরা এই কাজে লিপ্ত, তাহলে সেচ্ছায় কারাবরণ করতে প্রস্তুত আমরা দুই ভাই।
পাঠক, প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের কাছে আমাদের অনুরোধ এই ধরনের মানহানিকর ফেসবুক পোস্টে কান না দেওয়ার। যারা এই বিভ্রান্তি গুলো ছড়াচ্ছে তাদের ফেসবুক আইডি রি-কভারি করে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ হোছন (৩০), মেহেদি হাসান বাপ্পী (২১)
উভয় পিতা-সিকদার আলী
সাং-ঘুমধুম মধ্যমপাড়া ৪ নং ওয়ার্ড, নাইক্ষ্যংছড়ি।