কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও,আইএনজি সংস্থাতে ভূঁয়া এবং একজনের সনদ দিয়ে চাকরি করছেন অন্যজন এমন অভিযোগ অহরহর। তবুও মানবিক কারনে কেউ এনিয়ে মুখ খুলতে চায়না । যখন নিজেদের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটে তখন বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। ঠিক এবার তাই ঘটেছে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম’এর ভলান্টিয়ার পদে ভাবি’র সনদ নিয়ে বিগত ৩ বছর যাবৎ চাকরি করছেন ননদ। তার নাম তাসমিনা আকতার, পিতার নাম আব্দুর রশিদ, মাতা-খতিজা খাতুন, সে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা। তার আপন বড় ভাইয়ের বৌয়ের নাম জানাতুল ফেরদৌস, পিতা-সাহাব উদ্দিন, মাতা-আয়েশা বেগম, ঠিকানা সব একই। সেই সুবাধে তার সনদ দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস পরিচয়ে চাকরি করছেন তাসমিনা আকতার।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী অর্থাৎ তাসমিনা আকতারের বড় ভাই হেলাল উদ্দিনের সাথে। সে স্বীকার করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস তার স্ত্রী আর তাসমিনা আকতার তার ছোট বোন।
ভাবির সনদ দিয়ে কিভাবে চাকরি করছেন এনিয়ে কথা বলার জন্য তাসমিনা আকতারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সংস্থায় কিভাবে তথ্য গোপন করে একজনের সার্টিফিকেট দিয়ে বছরের পর বছর চাকরি করছেন অন্যজন? তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব কি তাদের নয়?
এ বিষয়ে ক্যাম্প ৯ এ কর্মরত আইওএম একজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস নামের একজন স্টাফ রয়েছে। তবে তার সার্টিফিকেটের ব্যাপারে তিনি বলেন, ওই স্টাফটি আমাদের সহযোগি সংস্থা এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত, তাই তারাই বলতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত। তার কাছে এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এর কোন কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার আছে কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি পুরাতন মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় নাম্বার নেই বলে অপারগতা প্রকাশ করেন।