উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বেড়েছে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালান। গেল বছরে কক্সবাজার-৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ানের সদস্যদের তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। ২০২০ সালে বিজিবি সদস্যরা বিভিন্ন অভিযানে উদ্ধার করেছে ১২৪ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার ইয়াবা, স্বর্ণ ও অনান্য চোরাইপণ্য। করোনার চরম ঝুঁকি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের মাদক ও চোরাচালান বিরোধী কঠোর অভিযানেও মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার কমেনি।
প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স’’ নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় নতুন উদ্যমে মাদক বিরোধী কঠোর অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস এর মহামারির মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযানসহ বিদ্যমান চেকপোষ্টে বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করছে৷
এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন-৩৪ বিজিবি এর অধীন বিওপি ও চেকপোষ্ট গুলো ২০২০ সালে এক বছরে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে। এ সময়ে ১২৪ কোটি,৩২ লাখ টাকা মূল্যমানের বার্মিজ ইয়াবা ট্যাবলেট, মদ, বিয়ার, স্বর্ণের বার ও অন্যান্য মালামাল আটক করে। বিজিবি এ সংক্রান্ত ৪৪৬ টি মামলায়, ২৮৮ জন আসামী আটক এবং ৪৮ জনকে পলাতক আসামী করা হয়।
গত এক বছরে উখিয়ার পালংখালী, বালুখালী, থাইংখালী, পূর্ব দরগাহবিল, ডিগলিয়া, ডেইলপাড়া, ঘুমধুম, তুমব্রু, রেজুআমতলী, গর্জনবনিয়া, মরিচ্যা চেকপোস্ট সহ সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ লক্ষ পিস ইয়াবা ও ১হাজার ২৭১ ভরি বার্মিজ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার-৩৪ বিজিব পরিচালক লেঃ কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, করেনা মহামারীর মধ্যে বিজিবি সদস্যরা চরম ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দেশের অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য মাদকমুক্ত পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে বিজিবি সদস্যরা নিরলসভাবে অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বদ্ধপরিকর।
স্থানীয়দের অভিমত, সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবির প্রশংসনীয় ভূমিকার কারনে এতসংখ্যক ইয়াবা ও স্বর্ণ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এরপরেও বিশাল চালান আইনশৃংখলা বাহিনীর অগোচরে চলে যাচ্ছে নিরাপদ স্থানে, বিশেষ করে গত কয়েক মাস ধরে সীমান্তে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালানিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। চিহ্নিত মাদক ও চোরাকারবারিরা এলাকায় ফিরে এসে ফের ব্যবসায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে বলে সীমান্তের লোকজনের অভিযোগ।