নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা এ জেড মোঃ ছলিম এ প্রতিবেদককে বলেন, করোনা পজেটিভ ব্যক্তির নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৬ষ্ট করোনা সনাক্ত রোগী তাকেও সরকারের গাইড লাইন অনুযায়ী হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ঘুমধুমে ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ও এলাকা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে লকডাউন করার কথা নিশ্চিত করেন সাংবাদিকদের কাছে। এছাড়াও লকডাউন করা ২০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি ঐ এলাকার সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বলেছেন। তিনি করোনা পজেটিভ আসা ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তাদের রিপোর্টে না আসা পর্যন্ত ততদিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ২০টি বাড়ি ও ২ টি দোকান লকডাউন ঘোষণা
বলবত থাকার কথা জানান।
উল্লেখ্য ওই বড়ুয়া গত বুধবার তার শরীরে অসুস্থতা অনুভব করলে রোহিঙ্গা সেজে উখিয়ার কুতুপালং আন্তর্জাতিক সংস্থা এমএসএফ পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কোভিড -১৯ উপসর্গ কথা জানে তার নমুনা পরিক্ষার জন্য পাঠান কক্সবাজার মেডিক্যাল হাসপাতালের ল্যাবে। সেই ল্যাব থেকে নমুনা টেষ্ট ফলাফল পজেটিভ আসলে। তার লিপিবদ্ধ করা ঠিকানা খুঁজতে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরা। রোহিঙ্গা ক্যাম্প রেজিষ্ট্রারে ওই নামে কেউ না থাকায় বিভ্রান্তে পড়ে যায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। কঠোর ভাবে খুঁজতে গিয়ে জানতে পারে তিনি একজন প্রকৃত বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক। এবং তার স্থায়ী ঠিকানা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের উত্তর ঘুমধুম কচুবনিয়ার বড়ুয়া পাড়ায়।