প্রেমিক মোঃ শাহ আলম (৩৭) বৈল্যারচর এলাকার জামাল কারবারীর ছেলে ও ৫ সন্তানের জনক। এদিকে সন্তানের সমতুল্য ছেলের সাথে পালিয়ে যাওয়া রোকেয়া বেগম (৫২) একই এলাকার মোঃ জয়নাল আবেদীন সওদাগরের এর স্ত্রী ও বন্ধ্যা।
রোকেয়া বেগম এর স্বামী মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, মোঃ শাহ আলম আমাদের প্রতিবেশী। সে আমার স্ত্রীকে চাচী ও আমাকে চাচা বলে ডাকত। বৈল্যারচর বাজারে আমার চায়ের দোকান আছে। শাহ আলম পরিচিত হওয়ায় দোকান ও আমার বাড়িতে সবসময় যাওয়া আসা করত। আমাদের স্ব-সম্পত্তি সম্পর্কিত মামলায় সে আমার স্ত্রীকে সহযোগিতা করত। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে শাহ আলমের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় রোকেয়া।
তিনি আরো বলেন, আমার সকল সম্পত্তি ও জায়গা তার নামে (রোকেয়া বেগম) করেছি। পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ তিন লাখ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছেন তিনি। এই বয়সে সে এই কাজ করবে আমি ধারনা করতে পারিনি।
এদিকে, ভাতিজার বয়সী ছেলের হাত ধরে ৫৫ বছর বয়সী চাচী উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার ১দিন পরে রোকেয়া বেগম এর স্বামী জয়নাল আবেদীন স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করে লামা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। লামা থানা ডায়েরি নং- ৩৬৯/২০, তারিখঃ ১২ জুন ২০২০ইং।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হাফিজ বলেন, জয়নাল সওদাগর অসুস্থ হওয়ায় তার জায়গা জমি সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা গুলো নিয়ে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম পরিচালনা করত। সে মহিলা হওয়ায় এইসব কাজে শাহ আলম তাকে সহায়তা করত। বান্দরবান ও অন্যান্য কোথাও যেতে হলে রোকেয়ার সাথে শাহ আলম যেত। এইভাবে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে।