করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলকলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণার প্রথম দিন শেষ হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে রেড জোন এলাকায় ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, সংবাদকর্মী ও সেচ্চাসেবকরা।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া ৮ নির্দেশনা অমান্য করায় কোটবাজার, উখিয়া, বালুখালী, কুতুপালং এবং থাইংখালী স্টেশনে বেশ কিছু পথচারী, দোকান মালিককে গুনতে হয়েছে জরিমানা।
রেড জোন এলাকায় চলমান লকডাউন অমান্য করায় কয়েকজন পথচারী এবং ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। বিশেষ অহেতুক ঘুরাঘুরি, মুখে মাস্ক না পড়ায় এসব জরিমানা দিতে হয়েছে তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকলেও সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। সাধারণ মানুষ ও অসাধু ব্যবসায়ীদের মাঝে চোরপুলিশ খেলা চলেছে। প্রশাসন, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা এক স্থান ত্যাগ করে অন্যস্থানে গেলে সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে ব্যবসা চালিয়ে যেতে মরিয়া।
নির্দেশনায় সকল প্রকার দোকান পাঠ, মার্কেট, হাট, ফুটপাতের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ এবং কাঁচা বাজার ও মুদির দোকান সোমবার ও বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি থাকলেও নির্দেশ অমান্য করে সোমবার সাড়ে ৬ টায় উখিয়া কাঁচাবাজার, ৭ টায় বাজার রোডে মুদির দোকান এবং রাত ৮ টার দিকে নুর হোটেল খোলা রেখে ব্যবসায়িক কার্য সম্পাদন করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী বলেন, কাল থেকে দোকান বন্ধ রাখতে হবে তাই সুযোগ পেয়ে এতোক্ষণ (সন্ধা সাড়ে ৬ টা) পর্যন্ত আছি, একটু পরই চলে যাব।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সেচ্চাসেবক সোমবার সকাল থেকে উপজেলায় রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করেছি। নির্দেশনা অমান্য করায় পথচারী, ব্যবসায়ী সহ অনেককে জরিমানা করা হয়েছে। অধিকাংশ জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা নির্দেশনা মানলেও কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইদুর-বিড়াল খেলার মতো প্রশাসন দেখলে বন্ধ করে ফেলে আবার চলে কৌশলে লুকোচুরি করে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছি। এদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।