গত ৩১ জুলাই টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে শামলাপুর চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের পর ওসি প্রদীপ গ্রেপ্তার হন। এরপর তাঁর দায়িত্বকালীন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত স্বজনদের অনেকে আদালতে মামলা করেন।
এর মধ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বাহারছড়ার আবদুল আমিন ও হোয়াইক্যংয়ের মুফিদ আলম নামের দুজনকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়। এ অভিযোগে বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা করা হয়।
এ ছাড়া টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের শাহাবউদ্দিন, মিজানুর রহমান ও মাহমুদুর রহমান নামের আরো তিনজনকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন নিহতের স্বজনরা। ওই পাঁচ মামলার মধ্যে আজ আদালত চারটি মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন। বাকি একটি মামলা পরে শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
আবদুল আমিন ও মাহমুদুর রহমান হত্যা মামলাটি সিআইডিকে, শাহাব উদ্দিন হত্যা মামলা পিবিআইকে ও মিজানুর রহমান হত্যা মামলা উখিয়া-টেকনাফের সহকারী পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে মামলার আবেদনগুলো আমলে নিয়ে এ সংক্রান্ত আগের কোনো মামলা রয়েছে কিনা এবং ময়নাতদন্ত করা হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। থানা থেকে প্রতিবেদন দেওয়ায় আজ উক্ত মামলাগুলো তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলো।