আব্দুর রহমান হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক বল্লা বাহিনীর প্রধান হাফেজ উল্লাহ প্রকাশ বল্লা। সে চাচা হাজী আব্দুল মজিদ (৭৪) এর সম্পত্তি ভাগিয়ে নেওয়ার জের ধরে ঘটনার সুত্রপাত। উনার কোন সন্তান না থাকায় উনার সম্পত্তির ওয়ারিশ ছোট ভাই আব্দুল কুদ্দুস (৬৫) ও হাজী আব্দুল মজিদের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৬২)। হাজী আব্দুল মজিদের সম্পত্তি নাম ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য হাজী সাহেবের মৃত ভাইদের সব ছেলেরা উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের মধ্যে মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে প্রফেসর হোছাইন আহমেদ (৫৪),মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে সমবায় অফিসার কবির আহমেদ (৪৭), আব্দুর রহমানের ছেলে হাফেজ উল্লাহ প্রকাশ বল্লা(৪৫) এবং মৃত আব্দুল গফুর প্রকাশ জাফর এর ছেলে মনজুর আলম (৩৪) হাজ্বি আব্দুল মজিদের সম্পত্তি থেকে আবদুল কুদ্দুস মেম্বার ও হাজী আব্দুল মজিদের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন যাতে ওয়ারিশ হিসেবে কোন সম্পত্তি না পায়, তার জন্য তারা বিভিন্ন ভাবে শলা-পরামর্শ করে। এক পর্যায়ে তারা হাজী আব্দুল মজিদ থেকে জোর করে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার জন্য বিগত ০৯-১১-২০২০ ইং তারিখে হাজী আব্দুল মজিদের নিজ বাড়িতে গিয়ে উনার একমাত্র ভাই আব্দুল কুদ্দুস মেম্বার কে ভাইয়ের পাশে দেখতে পেয়ে “কথা আছে বলে” এক কিনারায় নিয়ে গিয়ে চাচা আব্দুল কুদ্দুস মেম্বার কে মারধর করে একটি দাতঁ ফেলে দিয়ে গুরুতর জখম করে দেয় বল্লা বাহিনীর প্রধান হাফেজ উল্লাহ প্রকাশ বল্লা। যার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা,ডাকাতি, অস্ত্র ও হত্যা মামলাসহ ডজন খানেক মামলা রয়েছে। পরবর্তীতে পিতা আব্দুল কুদ্দুস মেম্বার কে মারধরের খবর পেয়ে উনার সন্তান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হাফেজ উল্লাহ, মনজুর সহ অনেকে তেড়ে এসে দা, ছুরি ও লাঠি নিয়ে আব্দুল কুদ্দুসের সন্তানদের উপর হামলা করে। হামলায় দস্তাদস্তির একপর্যায়ে ছুরির আঘাতে নিরীহ আব্দুর রহমান জখম হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এই ঘটনায় কোন প্রকার সম্পৃক্ততা না থাকার পরেও ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে সমূলে উৎপাটন করে দেওয়ার জন্য তার চাচাতো ভাইয়েরা বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা জানে আমাকে থামিয়ে দিতে পারলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়ে যাবে। ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত যত সংবাদ প্রকাশ হয়েছে কোনটিতে আমার নাম নাই, তবুও একটি মহল আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে যা অত্যান্ত দুঃখজনক।
ঘটনার নেপথ্যের নায়ক হাফেজ উল্লাহ প্রকাশ বল্লা। ইয়াবা ও অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় আদম ব্যবসা করে প্রচুর সম্পদ গড়ে চট্টগ্রাম শহরে জমি কিনে ফ্ল্যাট বাড়ি করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। বিগত ওসি প্রদীপের আমলে ভয়ে এলাকা থেকে সম্পুর্ণ
আত্মগোপনে চলে যায়। এখন সে এলাকায় আবার এসে পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিজ আত্মীয় স্বজনের উপর চালিয়ে যাচ্ছে সম্পত্তির জন্য। বর্তমানে হাজী আব্দুল মজিদ ও উনার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন কে নিজ বাড়ি থেকে কে বা কারা সরিয়ে ফেলেছে।
পরবর্তীতে মনজুরের নেতৃত্বে এসে আব্দুল কুদ্দুসের দুটি বাড়িতে এসে ভাঙচুর, লুটপাট চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি সাথে নিরিহ চাচাত ভাই আব্দুর রহমান হত্যার মূল হুতা বল্লা বাহিনীর প্রধান হাফেজ উল্লাহ প্রকাশ বল্লার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। এহেন অপপ্রচারে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।
আমান উল্লাহ আমান
সহকারি শিক্ষক
কাটাবনিয়া কচুবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পিতা: আব্দুল কুদ্দুস মেম্বার
৩নং ওয়ার্ড, সাবরাং, টেকনাফ, কক্সবাজার।