উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের অন্তর্গত রুহুল্লার ডেবা গ্রামের খেটে খাওয়া পরিশ্রমী এক মানুষ শামশুল আলম। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তার ৫ জনের সংসার।
সারাদিন রোদে পুড়ে অটোরিকশা চালিয়েই জুটতো দুমুঠো ডাল ভাত। কিন্তু হঠাৎ একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় তার জীবনের গতি থমকে গেলো। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তার এক পা অচল হয়ে গেলো তার।
দীর্ঘ এক বছর ধরে তিনি এই ভাঙা পা নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বাড়িতে। এই এক বছরে তার চিকিৎসা খরচের জন্য গিয়েছেন তার আত্মীয় স্বজনদের দ্বারে। সর্বশেষ তার একমাত্র আয়ের উৎস অটোরিকশাটিও বিক্রি করে দিয়েছেন তার চিকিৎসার খরচের জন্য ।
এক বছর ধরে বহু কষ্টে আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় নিজের চিকিৎসা খরচ চালালেও, এখন চিকিৎসার জন্য নেই এক কানাকড়িও। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তার।
তিনি আজ একেবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
যদিও ডাক্তার তাকে প্রায় দুই মাস আগে পায়ের অপারেশন করাতে বলেছিলো, কিন্তু তিনি টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারেননি। সম্প্রতি তিনি ডাক্তারের সাথে পুনরায় যোগাযোগ করলে ডাক্তার বলেন, যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করিয়ে নিতে। নইলে আহত পা কেটে ফেলে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তার পায়ের অপারেশনের জন্য প্রয়োজন অর্ধ লক্ষ টাকা।
এই টাকা জোগাড় করতে না পেরে অবশেষে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আহত শামসুল আলম বলেন, আমি আমার যা আছে সব বিক্রি করে দিয়ে গত এক বছর যাবৎ আমার পায়ের চিকিৎসা করিয়েছি। এমনকি আমার একমাত্র উপার্জনের উৎস অটোরিকশাটিও বিক্রি করে দিয়েছি। এখন আপনারাই পারেন আমার পায়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য করতে। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নাস্বরে বলেন, আমি দুইটা পা নিয়ে আগের মত স্বাভাবিক হয়ে হাটতে চাই, আমি পুনরায় আয়-উপার্জন করে আমার সন্তানদের মুখে আহার তুলে দিতে চাই, আমি বাঁচতে চাই।
সব শেষে তিনি সবার সাহায্য ও আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন।
শামশুল আলমকে সাহায্য পাঠানোর তিনি একটি বিকাশ নাম্বার দেন, এবং কেউ সাহায্য পাঠালে ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করে, নিশ্চিত হয়ে সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ করেন।
সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নাম্বারঃ ০১৮৮৬৮৬৮৪৯৩(পারসোনাল)