নোয়াখালীর ভাসানচরে তৃতীয় দফায় এক হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা পৌঁছেছেন।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় তারা ভাসানচরে এসে পৌঁছান। এদের মধ্যে পুরুষ ৪০৬ জন, মহিলা ৫১০ জন এবং ৮৬২ জন শিশু রয়েছে।
চট্রগ্রাম বোটক্লাব থেকে ৫টি জাহাজে করে তাদের ভাসানচর আনা হয়। এর আগে বুহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৩৮টি বাসে করে তাদেরকে চট্রগ্রাম আনা হয়।
রাতে চট্রগ্রাম বিএফ শাহিন কলেজ ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।সকাল ৯ টায় নৌবাহিনীর ৫ টি জাহাজ তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
ভাসানচরে নৌবাহিনীর দায়িত্বরত লেফটেনান্ট কর্নেল মামুন জানান, আগত রোহিঙ্গাদো পর্যায়ক্রমে জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়ি যোগে ওয়্যার হাউজ -১ এ সমবেত করে ব্রিফ প্রদান করা হয়। পরে ভাসানচরের ২৩, ২৪ এবং ২৫ নং ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
নোয়াখালীর ভাসানচরে তৃতীয় দফায় এক হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা
তিনি আরো জানান, আগত রোহিঙ্গাদের ট্রিপল আরআরআরসির মাধ্যমে ৩ দিন খাবারের ব্যবস্থা করা হবে পরে তাদের রেশন দেয়া হবে।
গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ, শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ৭, ৮, ৯, ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদেরকে রাখা হয়। এক সপ্তাহ নৌবাহিনী তত্ত্বাবধানে তাদেরকে রান্না করে খাওয়ানো হয়। প্রথমধাপে ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০ জন, পুরুষ ৩৬৮ জন, নারী ৪৬৪ জন।
গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরও ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছান। তাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি রয়েছে প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মোট তিন হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।