কক্সবাজার বিআরটিএ অফিসে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত কম্পিউটার অপারেটর জামশেদ আলম এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওচিত্রে ঘুষের টাকা টেবিলের ড্রয়ারের গুনে নিতে দেখা গেলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি।
কক্সবাজার বিআরটিএ অফিস থেকেও কোন তদন্ত কমিটি গঠন করেনি। অফিসের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজার বিআরটিএ অফিসের কম্পিউটার অপারেটর জামশেদ উদ্দিন ‘টাইগার আইটি বিডি’ নামের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অধিনে কর্মরত রয়েছে।
সরকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ নিয়ে জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর জেলাজুড়ে বেশ আলোচনার মুখে পড়ে কক্সবাজার বিআরটিএ অফিস।
জানা গেছে, কম্পিউটার অপারেটর জামশেদ উদ্দিন ডিজিটাল রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ডিআরসি) ও লাইসেন্স ডাটা এন্টিসহ ছবি তোলা এবং ডেলিভারি দেওয়ার সময় তিনি জনপ্রতি দুইশ থেকে এক হাজার পর্যন্ত ঘুষ নেন। তার দাবিকৃত ঘুষ না দিলে কাগজ ছুড়ে মারাসহ নানা রকম হয়রানি ও খারাপ আচরণ করার অভিযোগ তুলেছে সেবা নিতে আসা অনেক গ্রাহক।
বিআরটিএ কক্সবাজার সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) উথোয়াইনু চৌধুরী বলেন, ‘জামশেদ উদ্দিন কক্সবাজার বিআরটিএ অফিসের কোন পদে কর্মরত নেই। ‘টাইগার আইটি বিডি’ নামের বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। সেই সুবাধে অফিসের একটি কক্ষে জামশেদ বসে কাজ করে।’
তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু জামশেদ বিআরটিএ কক্সবাজার অফিসের কোন পদে নেই, সেই জন্য তদন্তের বিষয়টি তাঁর প্রতিষ্ঠান দেখবে।’
সংবাদ প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবিষয়ে অবগত কি-না জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) উথোয়াইনু চৌধুরী বলেন, ‘সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছি। তাকে বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে সুপারিশ করা হবে।