আজ রাত ১০ টায় উখিয়া দক্ষিণ স্টেশনের “সাধুর” হোমিওপ্যাথি দোকানে ঔষধ কিনতে গিয়ে চোখে পড়লো পাশে অন্য একটি দোকানের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছে এক নারী উখিয়া স্টেশনের সকলের পরিচিত পাখি বেগম। তার পাশে বসা তার বড় ছেলে নুরুল আলম। কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম, তোমারা এত রাতে এখাাা্নে কেন? জবাবে সে বললো আজ প্রায় এক বছর যাবত আমরা এখানেই থাকি।
পাখি বেগমের জাতীয় পরিচয় পত্র
এই কনকনে শীত কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়া সকল পরিস্থিতিতেই তারা এখানে রাত্রি যাপন করে আসছে। অসহায় গৃহহীন এই নারীর দিনের বেলা মানুষের নিকট হাত পেতে যা আয় করে তা দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে। পাখি বেগমের দুই ছেলে বড় সন্তানের বয়স ১৪/১৫ বছর। সেও বেকার। কোন কাজ কর্ম নেই। ছোট ছেলে শাহ আলম উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। দীর্ঘদিন ধরে গৃহহীন পাখি বেগম দুই ছেলে নিয়ে এভাবেই জীবনযাপন করছে। উখিয়ায় সকলের সবকিছু হয় কিন্তু পাখি বেগমের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না।
লেখক,একজন শিক্ষক